বিএসসিসিএল (Bangladesh Submarine Cable Company Limited) এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আফজাল হোসেন গত বৃহস্পতিবারে ঢাকার এক হোটেল বিষয়ে চুক্তি সই করে। আগামি ৩০ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে কনসোর্টিয়ামের সদস্যের দ্বারা আরেকটা চুক্তি সাক্ষরিত হবে। মোট ৬৯৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে এই প্রকল্পের। গতবছর একনেক সভায় তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল এর অনুমোদন করা হয়। করোনাভাইরাসের জন্য কনসোর্টিয়াম নির্বাচনে দেরি হওয়াই ২০২৪ নাগাদ কাজ সম্পূর্ণ করার বিষয়ে আশাবাদী!
SEA-ME-WE 6 কনসোর্টিয়ামে অংশগ্রহণকারী 15 টি কোম্পানি হল সিংটেল (সিঙ্গাপুর), BSCCL (বাংলাদেশ), টেলিকম (মালয়েশিয়া), SLT (শ্রীলঙ্কা), ধীরাগু (মালদ্বীপ), Ni2i (ভারত), TWA (পাকিস্তান) , জিবুতি টেলিকম (জিবুতি), মোবিলিংক (সৌদি আরব), চায়না মোবাইল ইন্টারন্যাশনাল, চায়না টেলিকম গ্লোবাল লিমিটেড চীন, চায়না ইউনিকম, মাইক্রোসফট (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), টেলিকম মিশর এবং অরেন্জ (ফ্রান্স)।
বাংলাদেশে বর্তমানে ২৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডইউথ দরকার হয়। যেটা, ২০২৪ নাগাদ গিয়ে দাঁড়াবে ৬০০০ জিবিপিএস। যেটা বর্তমানে দেশের মোট ব্যান্ডইউথ এর চেয়েও বেশি। সি-মি-ইউ-৬ সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে দেশে ১২ টেরাবাইট ব্যান্ডউইথ আসবে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও বেসরকারিভাবে দুটো প্রতিষ্ঠানকে সাবমেরিন ক্যাবলের লাইসেন্স প্রদান করা হবে। প্রয়োজনীয় গাইডলাইনের আওতায় আগামিতে আরও প্রতিষ্ঠান আসতে পারে।