১৯৯০ সালে প্রেরনের পর থেকে অনেক সার্ভিস দিয়েছে হাবল। আধুনিক মহাকাশ ও পাদার্থবিজ্ঞান গবেষণায় অনেক গুরুত্বপুর্ণ বিবেচিত ছবির অনেকগুলোই হাবলের তোলা। তবে, নানা সময়েই জ্ঞাত-অজ্ঞাত নানা কারণে অফলাইন চলে যায় হাবল। যার সর্বশেষটি ঘটে চলতি মাসেরই ১৩ তারিখে।
বিস্তারিত: হাবলের দিন কী তবে এখানেই শেষ!
এর আগে হাবলকে আপগ্রেড এবং ঠিক করতে মোট ৫ বার মহাকাশে যেতে হয়েছে জ্যোতির্বিদদের। সর্বশেষ ২০০৯ সালে হাবলকে একটি ব্যাকআপ কম্পিউটার উপহার দেন তারা। শেষ ভরসা হিসেবে, হাবলের মূল কম্পিউটারে কোনো সমস্যা হলে ব্যাকআপ কম্পিউটার দিয়ে সেটা রিপ্লেস করাই ছিল এই ইন্সটলমেন্টের মূল উদ্দেশ্য।


ক্রেডিট: NASA, ESA, J. Hester এবং A. Loll (Arizona State University)
কিন্তু, গত দুই সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করেও ব্যাকাপ কম্পিউটারটি সচল করতে পারছেন না নাসার গবেষকরা। নাসার এক ব্লগে জানানো হয় ইন্সটলমেন্টের পর এই প্রথমবারের মতো সচল হতে যাচ্ছিল ব্যাকাপ কম্পিউটারটি। কিন্তু সম্প্রতি নাসা নিশ্চিত করেছে, মূল কম্পিউটারের মতোই একই সমস্যায় জর্জরিত তাদের ব্যাকাপ কম্পিউটারটিও।
হাবল টিম মনে করে যে, সমস্যা তৈরিকারী কলপ্রিট এমন একটি কমিউনিকেশন মডিউল হতে পারে মডিউলটি টেলিস্কোপের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রাংশে কমান্ড প্র্ররণ এবং সেই যন্ত্রাংশ থেকে পৃথিবীতে তথ্য পাঠানোর প্রক্রিয়াতে সাহায্য করে। সেই মডিউলটিকে Command Unit/Science Data Formatter (CU/SDF) বলা হয়।
নাসা জানিয়েছে, সমস্যাটি কোনো ত্রুটি সম্পন্ন পাওয়ার রেগুলেটরের কাছ থেকেও আসতে পারে। যদি রেগুলেটর হাবলের হার্ডওয়ারগুলিতে ভুল ভোল্টেজ প্রেরণ করে থাকে তবে এটি বিস্তৃত সমস্যান ব্যাখ্যা করতে পারে। তবে সেটা আরো খতিয়ে দেখতে হবে।
সংস্থাটির আপডেটে বলা হয়েছে, নাসা আগামী সপ্তাহে টেলিস্কোপের অন্যান্য অংশের পরিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। যদি মনে হয় CU/SDF বা পাওয়ার রেগুলেটর সমস্যার কারণ, তাহলে দলটি তাদের নিজ নিজ ব্যাকআপ অংশগুলিতে স্যুইচ করার পরিকল্পনা করেছে। (হাবলের অনেক যন্ত্রাংশ ব্যাকআপ রয়েছে, যেহেতু নাসার কাছে আর স্পেসশিপ নেই যা ত্রুটিযুক্ত অংশগুলি প্রতিস্থাপনের জন্য এটিতে নভোচারী বহন করতে পারে)
হাবল ৩১ বছর বয়সী হলেও, এটি গত কয়েক বছরের তুলনায় আরও বেশি বৈজ্ঞানিক কাজ করে চলেছে। নাসা আশা করছে যে সমস্যা কাটিয়ো এই দশকেও টেলিস্কোপটি ভালভাবে চলবে।
সূত্র: নাসা, বিজনেস ইনসাইডার
আপডেট: ত্রুটি সমাধানের পর বিখ্যাত হাবল স্পেস টেলিস্কোপ তার নতুন জীবন শুরু করেছে
Comments 2