শুক্রবার নাসা জানিয়েছে যে তারা বৃহস্পতির বরফ চাঁদ ইউরোপা মিশনের যাত্রা শুরু করার জন্য স্পেসএক্স (SpaceX) কে বেছে নিয়েছে। এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানের জন্য এ এক বিশাল অর্জন।
ইউরোপা ক্লিপার (Europa Clipper) মিশন 2024 সালের অক্টোবরে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে একটি ফ্যালকন হেভি (Falcon Heavy) রকেটের মাধ্যমে লঞ্চ করা হবে। এর জন্য নাসা এবং স্পেসএক্স এর মধ্যে মোট ১৭৮ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছে।

ছবি: NASA/JPL-Caltech
মিশনটি নাসার নিজস্ব Space Launch System (SLS) রকেটটি নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, যা বিলম্বতা, ব্যয়বহুলতা সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়। এর জন্য বেশ সমালোচনার মুখেও পরতে হয়েছে নাসাকে।
SLS এর কাজ এখনও শেষ হয় নি, সাথে কত-শত সমালোচনা। অন্যদিকে ফ্যালকন হেভি ২০১৮ সালে প্রথম ফ্লাইটে মাস্কের টেসলা রোডস্টারকে মহাকাশে নিয়ে যাবার পর থেকে বাণিজ্যিক এবং সরকারী উভয় মিশনেই কাজ করে আসছে। সেজন্য নাসার কাছে অভিজ্ঞ স্পেস এক্সের রকেট বেঁছে নিতে তেমন ভাবতে হয় নি।
রকেটটি লিফটওপে ২৩ লক্ষ কেজিরও বেশি থ্রাস্ট (২২ মিলিয়ন নিউটন) জেনারেট করে যা প্রায় আঠারো ৭৪৭টা বিমানের সমান।
বরফের চাঁদটিতে জীবনের উপযুক্ত অবস্থায় আশ্রয় নিতে পারে কিনা তা নির্ধারণ করতে ইউরোপা ক্লিপার অরবিটারটি ইউরোপাকে ৪০-৫০ বার চক্কর দিবে।
এর পে-লোডে চিত্র এবং পৃষ্ঠ এবং বায়ুমণ্ডলের রচনাগত মানচিত্র তৈরি করার জন্য ক্যামেরা এবং স্পেকট্রোমিটার অন্তর্ভুক্ত করা হবে, পাশাপাশি নীচের তরল পানির সন্ধানের জন্য বরফের স্তরটি প্রবেশ করার জন্য রাডার।
মিশনের পে-লোডে থাকছে হাই-রেজোলিউশন ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা, পৃষ্ঠ এবং বায়ুমন্ডলের ম্যাপ করার জন্য স্পেকটোমিটার, বরফের নিচে তরল পানি আছে কি না তার জন্য রেডার।