এই ডায়নোসরটির নামকরণ করা হয়েছে পেনড্রিগ মিলনেরা (Pendraig milnerae )। দ্বাদশ থেকে পঞ্চদশ শতকের ওয়েলশ ভাষায় (যুক্তরাজ্যের ওয়েলসে ব্যবহৃত ভাষা) পেনড্রিগ শব্দের অর্থ হলো নেতা ড্রাগন (Chief Dragon)।
আর মিলনেরা শব্দটি প্রয়াত অ্যাঞ্জেলা মিলনারের সম্মানে দেওয়া হয়েছে। অ্যাঞ্জেলা মিলনার ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের ডাইনোসর গ্যালারির একজন গুণী গবেষক ছিলেন। তিনি ৩০ বছর ধরে জাদুঘরে প্যালিওনটোলজির ডেপুটি কিপার ছিলেন। গত আগস্ট মাসেই তিনি মারা যান।
১৯৫০ এর দশকে সাউথ ওয়েলসের একটি খনিতে পেনড্রিগ মিলনেরার খন্ডিত জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছিল। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে সেগুলো কুমিরের নমুনার সাথে ড্রয়ারে পড়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত অ্যাঞ্জেলা মিলনার সেগুলোর সন্ধান পান।
বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন যে, এই ডায়নোসরগুলো ট্রায়াসিক যুগের শেষভাগে (২০০-২১৫ মিলিয়ন বছর আগের সময়কালের মধ্যে) বেঁচে ছিল এবং এটি এখনকার মুরগির শরীরের মতো আকারের ছিল। লেজসহ এই ডায়নোসরটি প্রায় এক মিটার লম্বা ছিল।
মাত্র চার টুকরা হাঁড় দ্বারা এ ডায়নোসর সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এসব তথ্য উদঘাটন করেন – একটি ভার্ট্রিবা, পেলভিসের উপাদান ও একটি ফিমার।

ছবি: Spiekman SNF এবং বাকিরা, Royal Society Open Science (2021)
তবে এত ছোট হওয়া সত্ত্বেও সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো এটি টি-রেক্সের মত মাংসাশী ছিল এবং এরা টি-রেক্সের আরও আগেই বসবাস করত। বিজ্ঞানীদের মতে ডায়নোসরগুলো ক্ষুদ্র কিন্তু ভীতিকর ছিল।
ন্যাচারাল হিস্টোরি মিউজিয়ামের গবেষক স্টিফেন স্পিকম্যান বলেন, ‘পেনড্রিগ মিলনেরা মাংস ভক্ষক ডায়নোসরদের বিবর্তনের শুরুর দিকে বসবাস করত। এর হাড় থেকে এটা পরিষ্কার যে, এরা মাংসাশী ছিল।’
ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের প্যালিওনটোলজির প্রফেসর রিচার্ড বাটলার বলেন, ‘ওয়েলসে ডায়নোসর আবিষ্কার হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুর্লভ এবং এটি দেশটিতে আবিষ্কৃত তৃতীয় ডায়নোসরের প্রজাতি।’
ওয়েলসে আবিষ্কৃত বাকি দুটি প্রজাতি জীবাশ্মতত্ত্ববিদ পামেলা রবিনসন এবং কেনেথ কারম্যাক খুঁজে পেয়েছিলেন। সেগুলো নিয়ে গবেষণা হয়েছিল, কিন্তু নামকরণ করা হয়নি।
পেপার: Pendraig milnerae, a new small-sized coelophysoid theropod from the Late Triassic of Wales, Royal Society Open Science (2021)
DOI: 10.1098/rsos.210915