প্রকৃতিতে আমরা হরহামেশাই সন্তানের প্রতি মায়ের ভালবাসা-ত্যাগের উদাহরণ দেখতে পাই। সন্তানের সুরক্ষার জন্য জীবনের ঝুকি নিতেও দ্বিধা করেন না মা। কিন্তু এই আচরণের পেছনের বিজ্ঞানটুকু কী? এর ব্যাখ্যা কতটুকু জানি আমরা?
এইযে ভালবাসা, সুখ, দুঃখ,বেদনা- এতসব আবেগ, বিজ্ঞান বলে দিনশেষে এসব কিছু কেমিক্যাল রিয়্যাকশন ছাড়া আর কিছু না। মস্তিষ্কের নিউরনগুলোতে ঘটা জটিল কিছু রাসায়নিক কার্যাবলী। আর এটা জানাও সম্ভব যে ঠিক কোথায় এই বিক্রিয়াগুলোর উৎপত্তি, কিভাবে ঘটে বা কোন কোন পদার্থ এসব ঘটায়। অতঃপর সেটা নিয়ন্ত্রণও সম্ভব।


জাপানের RICEN Center for brain science(CBS) এর একদল গবেষক বিজ্ঞানী কুমি কুরোদার নেতৃত্বে কাজ করেছেন এটি নিয়ে। খাওয়া, ঘুমের মত একদম সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো মস্তিষ্কের কোথায় থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়, কিভাবে হয় তা বের করা তুলনা মূলক সহজ। কিন্তু ‘একজন মা তার সন্তানের সুরক্ষার জন্য নিজের জীবনের ঝুকি নেয়’- এরকম জটিল আচরণের ব্যখ্যা করাটা বেশ কষ্টসাধ্য।
এই গবেষণাগুলো মূলত ইঁদুরের ওপর করা হয়। পূর্ববর্তী গবেষণা গুলো থেকে জানা যায় মা ইঁদুরের সন্তানের জন্য ঝুঁকি নেয়ার এই আচরণে মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসের সেন্ট্রাল-MPOA বা cMPOA অংশের ভূমিকা আছে। কিংবা বলা যায় এই অংশই এই নির্দিষ্ট আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। মস্তিষ্কের এই অঞ্চলে ক্যালসিটোনিন রিসেপটর প্রোটিন থাকে এবং আছে অন্তত সাত রকমের নিউরন ।
তো cMPOA কে সন্তানের যত্ন নেবার বা ভাল ভাবে বললে সন্তানবাৎসল্যতার কেন্দ্র হিসেবে খুজে পাবার পর এই নিউরনগুলো নিয়ে আরো ডিটেইলস গবেষণার উদ্যোগ নেয়া হয়। উদ্দেশ্য ছিল এটা দেখা যে কোন ধরনের নিউরন এই কাজে বেশি ভূমিকা রাখে, বা কোন জিনটির ভূমিকা সর্বোচ্চ। এতে যে ফলাফল আসে সেগুলো মোটামুটি এরকম-
প্রথমত, মা ইদুরের cMPOA নিউরন এবং ক্যালসিটোসিন রিসেপটর প্রোটিন অন্য মেয়ে ইঁদুর, বা বাবা ইঁদুর থেকে বেশি থাকে।
দ্বিতীয়ত, সন্তান জন্মদানের পর মা ইঁদুরের মস্তিষ্কের এই অঞ্চলের নিউরনগুলোর সাথে মস্তিষ্কের অন্যান্য অংশের কানেকশনে বেশ পরিবর্তন হয়।
এবং তৃতীয়ত, কোনোভাবে এই নিউরনগুলো নিষ্ক্রিয় করে দিলে মা ইঁদুরের মাতৃত্বসুলভ আচরণ বিঘ্নিত হয়।
আগেই প্রায় বিশটা ‘জিন’ মার্ক করা হয়েছিল, যেগুলো এই আচরণকে প্রভাবিত করে। তন্মধ্যে ক্যালসিটোসিন রিসেপটর জিন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, মানে সবচেয়ে বেশিবার ডাবল লেভেলিং করা হয়েছে একে। তো যখন জানা গেল যে যেইসব নিউরন এই ক্যালসিটোসিন রিসেপটর এক্সপ্রেস করে তাদের ভূমিকা সরচেয়ে বেশি, তারপর বিজ্ঞানীরা হাইপোথিসিস দিলেন যে এই ক্যালসিটোসিন রিসেপটর শুধু ট্রিগারই করে না, এর নিজেরও কিছু ফাংশন থাকা উচিৎ। সেটা পরীক্ষা করার জন্য আগের ইঁদুর নিয়ে আগের পরীক্ষাই একটু ভিন্ন ভাবে করা হল। এক খাঁচায় মা ইঁদুর, আরেকটা খাঁচায় ভার্জিন মেয়ে ইঁদুর রাখা হল, আর খাঁচার বাইরে বাচ্চা। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সাধারণ মেয়ে ইঁদুরগুলোও বাচ্চা বাসার বাইরে গেলে বাসায় ফিরিয়ে আনে, কিন্তু এই বিপদজনক পরিস্থিতিতে তারা সেটা করল না। কিন্তু মা ইঁদুর ঠিকই ঝুঁকি নিয়ে বাচ্চাকে বাসায় ফিরিয়ে আনল। কিন্তু মা ইঁদুরের ক্যালসিটোসিন রিসেপটরের মাত্রা কমিয়ে অর্ধেক করা হলে দেখা গেল মা ইঁদুরও দ্বিধাগ্রস্ত – তার বাচ্চাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ঝুঁকি নেবে কিনা!
এই গবেষণা আমাদের একটা ধারণা দেয় যে প্রাণীর বিভিন্ন জটিল আচরণ ব্যাখ্যা করা সম্ভব। মানুষের ক্ষেত্রেও নিশ্চয়ই এর কিছু সাদৃশ্য রয়েছে, তবে মানুষের ক্ষেত্রে প্রয়োগের জন্য আরো গবেষণা প্রয়োজন। এর পরবর্তী ধাপ নিশ্চয়ই মানুষ ব্যতীত অন্য প্রাইমেটদের ওপর এই পরীক্ষা করা, যেখানে মানুষের কাছাকাছি ফলাফল পাওয়া যাবে।
সোর্সঃ SciTechDaily
female viagra – sildenafil 100mg cheap sildenafil 200 mg
prednisolone 20mg drug – buy gabapentin generic cialis 40mg pills
cost augmentin 625mg – augmentin 1000mg sale overnight delivery for cialis
bactrim 480mg generic – viagra 150mg for sale sildenafil mail order usa
cephalexin usa – cost cephalexin 500mg buy erythromycin 250mg generic
sildenafil 100mg without prescription – fildena order online ivermectin 0.08 oral solution
rhinocort allergy spray – cialis 20mg drug disulfiram ca
ceftin 500mg for sale – tadalafil sale tadalafil 20mg price
ampicillin 250mg cheap – cialis pills buy tadalafil 20mg