ডিপ্রেশনের চিকিৎসায় প্রথমবারের মতো সফল হলো ইলেকট্রিক্যাল ব্রেন ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি। যুগান্তকারী এই পদ্ধতি আবিষ্কার করে সমগ্র বিশ্বের সামনে বায়োলজিক্যাল ডিপ্রেশনের চিকিৎসার এক নতুন দিশা দেখাতে চলেছে বলেই মনে করছেন আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ক্লিনিক্যাল সাইকিয়ার্ট্রির অধ্যাপক এবং এই গবেষণার প্রধান বিজ্ঞানী ক্যাথেরিন স্ক্যাঙ্গস।
তাঁদের এই গবেষণালব্ধের ফল গত ৪ঠা অক্টোবর, ২০২১ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে Nature Medicine জার্নালে।
৩৬ বছর বয়সী সারা (Sarah) দীর্ঘদিন ধরে বেশকিছু ক্লিনিকাল ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। তার মস্তিষ্কে এই সার্জারি হওয়ার পর তার মন্তব্য ছিলো, “দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আমি আবার মন খুলে হাসতে পারছি। এতদিন ধরে পৃথিবীতে শুধু খারাপ জিনিসগুলোই বেশি করে চোখে পড়তো যা এখন আর মনে হয় না। এখন আমি বেঁচে থাকার মতো এক জীবন পেয়েছি”

ছবি: Maurice Ramirez
কিছু ডিপ্রেশন বয়েছে যা কাউন্সেলিং দ্বারা কোনোভাবেই ঠিক করা সম্ভব না কারণ সেটি তখন শারীরিক সমস্যা যা ভুক্তভোগীর পারিপার্শ্বিকতা বা সামাজিক অবস্থার ওপর কোনোভাবেই নির্ভরশীল নয়, জিনগত কারণেও এমন ডিপ্রেশন হয়ে থাকে। এইধরনের ডিপ্রেশনের ট্রিটমেন্টের জন্য এজাবৎকাল যে পদ্ধতিটি সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ছিল, সেটি হলো ডিপ ব্রেন স্টিমুলেশন সার্জারি বা সংক্ষেপে DBS। এর দ্বারা মস্তিষ্কের Nucleus Accumbens (NAc) অঞ্চলে তরিতদ্বার প্রবেশ করানো হয় যেগুলো ইলেকট্রিক পালস্ তৈরি করে এই অঞ্চলের কার্যকারিতা সচল রাখে। এই তরিতদ্বার দুটোকে সচল রাখার জন্য আবার বুকের ভেতরে পেসমেকার এর ন্যায় একটি ব্যাটারিচালিত যন্ত্র ইমপ্ল্যান্ট করতে হতো। Nucleus Accumbens অংশটি প্রধানত ডোপামিন ও সেরোটোনিন হরমোন নিঃসরণের জন্য দায়ী এবং মানুষের মনের অবস্থা অর্থাৎ হাসিখুশি থাকা বা প্রফুল্লতা অথবা মনমরা বা বিমর্ষতার জন্য দায়ী। এখন এই প্রক্রিয়াটির বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে কারণ যেসব ক্ষেত্রে ব্রেনের কোনও নির্দিষ্ট অংশ দায়ী নয়, সেসব ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা কম এবং এই প্রক্রিয়াটি একবারে সংঘটিত করাও সম্ভব হয় না, সেক্ষেত্রে সার্জারী করার জন্য মস্তিষ্কে রক্তপাত বা ওই ধরনের সমস্যার ঝুঁকিও থেকে যায়।
এদিকে নতুন এই পদ্ধতি আবার সেইসব ক্ষেত্রে সমানভাবে কার্যকরী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ যখন ব্রেনের নির্দিষ্ট একটি অংশই শুধু ডিপ্রেশনের জন্য দায়ী হয় না, অর্থাৎ একটি বড়ো অংশকেই নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন পরে ডিপ্রেশন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তখন এই নতুন পদ্ধতি বেশ কাজের।
সারার চিকিৎসক এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার নিউরোসার্জন এডোয়ার্ড চাং বলেন, “প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছিল ব্রেনের কার্যকলাপের জন্য মনের অবস্থার ওপর প্রভাব সুস্পষ্টভাবে খুঁজে বের করার যাতে একটি নির্দিষ্ট সম্পর্ক তৈরি করা যায়।”
এই কাজের জন্য রোগীর ব্রেনে একটি ইলেকট্রোড ইমপ্ল্যান্ট করা হয়েছিল সাময়িকভাবে এবং হাতে একটি ট্যাব দেওয়া হয়েছিল যার মাধ্যমে সে তার মনের অবস্থা সর্বদা জানাতো। এর মাধ্যমে রোগীর মনের অবস্থার সঙ্গে ব্রেনের অ্যামিগডালা অঞ্চলের কার্যকলাপের একটা সুস্পষ্ট রূপরেখা তৈরি করা যায়। এরপর সেই কার্যকারণ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে একটি পেসমেকারের ন্যায় ব্যাটারিচালিত যন্ত্র তৈরি করা যায়। এরপর সেই যন্ত্রটি সার্জারি দ্বারা সারার শরীরে মাথার খুলির ভেতরে বসানো হয়।
এই যন্ত্রটির কাজ হলো তার ব্রেনের অ্যামিগডালা অঞ্চলে ডিপ্রেশন সৃষ্টিকারী যেকোনো কার্যকলাপকে চেনা এবং সেই অনুযায়ী বৈদ্যুতিক পালস সৃষ্টি করা যা ভেন্ট্রাল স্ট্র্যাটাম কে উত্তেজিত করে সেই ডিপ্রেশন প্রশমনে সাহায্য করবে। সারার ক্ষেত্রে এই পালস তৈরির সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ বার প্রতিদিন যা প্রায় ৩০ মিনিট ধরে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারবে। প্রধানত মৃগীরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত NeuroPace RNS System এর পরিবর্তিত রূপ। যন্ত্রটি তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫,০০০ মার্কিন ডলার।
সারার কথা অনুযায়ী, “আমার মধ্যে মতামত দেওয়ার মতো কোনও ক্ষমতাই আর অবশিষ্ট ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে কোনও ফল না পাওয়ার কারণে চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থাই আর খোলা ছিলনা আমার সামনে।”
অর্থাৎ বায়োলজিক্যাল ডিপ্রেশন থেকে নতুন করে মানুষকে বাঁচতে শেখানোর ক্ষেত্রে এবং ডিপ্রেশন থেকে কোনোদিন স্বাভাবিক করা সম্ভব নয় ভেবে থাকা মানুষদের জন্য এই চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন ডিপ্রেশন বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখাবে, তেমনই ডিপ্রেশন নিয়ে থাকা মানুষদের আশার আলো দেখানোর জন্য এই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পূর্ণ অন্যরকম এক পন্থা হিসেবে বিবেচিত হবে বলেই মত প্রধান গবেষক ক্যাথেরিন স্ক্যাঙ্গস।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের নিউরসাইকিয়াট্রি এর অধ্যাপক প্রফেসর এলিন জয়েস যিনি ডিপ ব্রেন সিমুলেটর গবেষণার সময়েও ছিলেন, তার বক্তব্য অনুসারে, “এই গবেষণার ফলাফল লক্ষণীয়ভাবে কার্যকরী। এটি ডাক্তারী স্নায়ুবিদ্যার পরিবর্তনশীলতা একটি অত্যন্ত উল্লেখ্যযোগ্য উদাহরণ।”
লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত মনোরোগ পরামর্শদাতা রাপার্ট ম্যাকশানে বলেছেন “এটি একটি অত্যাশ্চর্য প্রদর্শনী যা ডিপ্রেশন এবং স্নায়বিক বিদ্যার ধ্বংসাত্মক দিক নিয়ে গবেষণার ফসল। এই পদ্ধতিটির এখনই ব্যাপকভাবে প্রয়োগ শুরু করা উচিৎ।”
গবেষণার ফলাফল: Closed-loop neuromodulation in an individual with treatment-resistant depression, Nature Medicine (2021).
DOI: 10.1038/s41591-021-01480-w
পড়ুন: https://www.nature.com/articles/s41591-021-01480-w.epdf
order viagra without prescription – cost viagra 50mg viagra overnight shipping usa
order prednisolone online – order tadalafil 20mg pills cheap cialis 40mg
oral clavulanate – generic augmentin 625mg buy cialis 40mg without prescription
bactrim generic – buy viagra 50mg for sale sildenafil cost
buy generic cephalexin 125mg – erythromycin 250mg us erythromycin 250mg for sale
order sildenafil 100mg sale – buy nolvadex pills buy ivermectin 12mg for humans
rhinocort sale – cost cialis 20mg oral antabuse 250mg
ceftin ca – cheap tadalafil online tadalafil buy online
oral ampicillin 250mg – buy ampicillin 250mg generic generic tadalafil 10mg
order amoxicillin 1000mg sale – cost levitra 20mg order levitra 20mg generic
cialis 20mg without prescription – cheap modafinil 200mg provigil for sale online